যৌনতার রেকর্ড। গোটা বিশ্বে এখন চর্চায় একটা নাম, লিলিয়ান ফিলিপ্স। ২৩ বছরের এই যুবতী জনপ্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক বা নীল ছবির অভিনেত্রী। তাঁর টার্গেট এখন একটাই, যৌনতায় রেকর্ড করা। একদিনে ১০০০ জনের সঙ্গে যৌনতা করতে চান তিনি। এর জন্য তিনি ট্রেনিং-ও শুরু করেছেন।
জানা গিয়েছে, লিলিয়ান ফিলিপ্স ২৪ ঘণ্টায় ১০০০ জনের সঙ্গে যৌনতা করতে চান। এর জন্য বিশ্বজুড়ে পুরুষরা আবেদনও করছেন ইমেইল মারফত। হাজার হাজার আবেদন ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে, এদের মধ্যে থেকেই ১০০০ জনকে বেছে নেওয়া হবে।
২৪ ঘণ্টায় ১০০০ জনের সঙ্গে যৌনতা, এর জন্য কার্যত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, “রেকর্ড ব্রেকিং ইভেন্ট অব দ্য ইয়ার“। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে এই অনুষ্ঠান হবে।
আগে এই রেকর্ড কার ছিল?
নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে কম সময়ে সবথেকে বেশি যৌনতার রেকর্ড রয়েছে আরেক প্রাপ্তবয়স্ক তারকা লিসা স্পার্কসের। তিনি একদিনে ৯১৯ জনের সঙ্গে যৌনতা করেছেন। ২০০৪ সালে পোল্য়ান্ডে একটি যৌনতা প্রতিযোগীতায় তিনি এই রেকর্ড করেছিলেন। এবার লিলিয়ান ফিলিপ্স এই রেকর্ড ভাঙতে চান।
রেকর্ডধারী লিসা জানিয়েছিলেন, প্রতিযোগিতার সময় তিনি যৌনতা উপভোগ করলেও, পরে এক সপ্তাহ তিনি অত্যন্ত কষ্টে ও যন্ত্রণায় ছিলেন। লিসার অভিজ্ঞতা শুনেই লিলিয়ান বর্তমানে নিজেকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। চেষ্টা করছেন একদিনে যত বেশি সম্ভব পুরুষের সঙ্গে যৌনতা করার।
যৌনতার প্রশিক্ষণ-
লিলি সম্প্রতি একটি পডকাস্টে জানিয়েছেন, তিনি একদিনে ১০১ জনের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি ৩০০ জনের সঙ্গে যৌনতায় মেতেছেন। গোটা বিষয়টিই তাঁর কাছে বক্সিং ম্যাচের মতো মনে হয়েছে। তাঁর দাবি, ৯টা-৫টার চাকরি করার থেকেও অনেক কঠিন এত সংখ্যক পুরুষের সঙ্গে যৌনতা করার। এতজনের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় যৌন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু বিশ্ব রেকর্ড গড়তে লিলিয়ান পিছপা হতে চান না।
চিকিৎসকরা কী বলছেন?
এদিকে, লিলির এই চ্যালেঞ্জ শুনে শঙ্কিত চিকিৎসকরা। একাধিক চিকিৎসক সতর্ক করেছেন যে সীমাহীন যৌনতা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। যদি ২৪ ঘণ্টা ধরে টানা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তবে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যৌন সম্পর্কের সময় যেহেতু পেশি, হৃৎযন্ত্রের সক্রিয়তা এবং এন্ডোরফিনের মাত্রা বেড়ে যায়, তা কার্যত ওয়ার্কআউট বা শরীরচর্চার মতো হয়। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় যৌনতা শরীরে গভীর ক্ষত, ডিহাইড্রেশন, পেশি ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ক্ষতিও হতে পারে।



