নীল ছবিতে উদ্দাম যৌ;ন;তা দেখতে ভালবাসেন অনেকেই… কেমন ছিল প্রথম প;-;র্ন ছবি?



যৌনতার প্রতি অধিকাংশ মানুষেরই প্রবল টান। আর সেই কারণেই, কেবল বাস্তবের যৌন সম্পর্ক নিয়েই আশ মেটে না অনেকের। বাস্তবে যৌনতা মিলুক বা না মিলুক, রিল লাইফে হাত বাড়ালে যৌনতার অভাব নেই। আর তার রং ঢং, অঙ্গভঙ্গিতে যে তীব্র শরীরী আকর্ষণ ফুটে ওঠে, বাস্তবের থেকে তা অনেকটাই চড়া। তাই সেই অন্যরকম যৌনতা দেখার আকর্ষণও অনেকটাই বেশি। বিশ্ব জুড়ে তাই নীল ছবির ব্যবসা চলে রমরমিয়ে। আর সেখানে তৈরি হওয়া ছবির প্রতিটি মুহূর্ত গোগ্রাসে গিলে নিতে চান দর্শকেরা। কিন্তু জানেন কি, কখন থেকে এই ধরনের ছবি তৈরি হতে শুরু করে? সেই ছবিতেও কি আধুনিক ছবির মতোই খোলাখুলি যৌনতার প্রদর্শন চলত? নাকি সেখানে আড়াল ছিল কোনও? তাহলে খুলেই বলা যাক।



সবাক চলচ্চিত্র আসার পরেই ছবিতে যৌনতা আনার কথা ভেবেছিলেন কোনও কোনও পরিচালক। তেমনই দুই ফরাসি পরিচালক, ইউজিন পিরৌ এবং অ্যালবার্ট কির্চনার একটি সাত মিনিটের ছবি বানিয়ে ফেলেন। সেই ছবিটিকেই পৃথিবীর প্রথম অশ্লীল ছবি বলে মনে করা হয়। এই ছবিতে এক যুবতীর স্নানদৃশ্যের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। ওই যুবতীকে দেখা গিয়েছিল একের পর এক পোশাক খুলে ফেলতে। ‘লে কাউচের দে লা মারি’ নামের এই ছবিটি দেখে উৎসাহী হয়ে ওঠেন অন্য পরিচালকরাও। নারীশরীর এবং যৌনতা যে বরাবরই ভাল বিক্রি হয়, সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং ‘দ্য বার্থ অফ দ্য পার্ল’ ছবিতে এল সাহসী দৃশ্য। ‘দ্য মে ইরউইন কিস’ ছবিতে ৪৭ সেকেন্ডের একটি ক্লিপে দেখানো হল প্রথম চুম্বনদৃশ্য।


সেটা ১৮৯৬ সাল। রক্ষণশীল সমাজে নরনারীর সম্পর্ক নিয়ে তখনও প্রচুর ট্যাবু ছিল। ফলে এই ছবিগুলির উপরেও নানা সময়ে কোপ পড়েছে। কিন্তু যৌনতাময় ছবি বানানো বন্ধ করা যায়নি। বিশ শতকের শুরুর দিকে অস্ট্রিয়ায় রাত্রিবেলা পুরুষেরা দল বেঁধে প্রেক্ষাগৃহে যেতেন। যেখানে নীল ছবি দেখানো হত। ১৯০৬ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত এই থিয়েটারগুলিতে মোট ৫২টি যৌন উত্তেজক ছবি দেখানো হয়েছিল। অবশ্য জোহান স্কোয়ার্জার-এর বানানো এই ছবিগুলির সবই ১৯১১ সালে নষ্ট করে দেয় প্রশাসন। এদিকে ফ্রান্সের রক্ষণশীল সরকারের চোখ এড়াতে আর্জেন্টিনায় পর্ন ছবির শুটিং শুরু করেন ফরাসি পরিচালকেরা। ফ্রান্সে পর্ন ছবির উদ্ভাবকদের মধ্যে প্যাথে ব্রাদার্সের নাম উল্লেখযোগ্য। আর্জেন্টিনায় বানানো ‘এল সার্তোরিয়ো’-কেই সবচেয়ে প্রাচীন পর্ন ছবি বলে মনে করা হয়। এই ছবিটিতেই প্রথম খুব কাছ থেকে যৌনাঙ্গের প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞেরা। এখানে বিভিন্ন ভঙ্গিতে সরাসরি নারী পুরুষের সঙ্গমদৃশ্যও দেখানো হয়। ছবিটি ১৯০৭ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করেন গবেষকরা।


পর্নোগ্রাফির উপর বারবার রাশ টানার চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন কালে খোলাখুলি মান্যতা পায়নি এই ধরনের সিনেমা। কিন্তু মানুষের প্রবৃত্তির কাছে হার মেনেছে সেই সব বাধাই। একদিকে যৌনতার আকর্ষণে এ ধরনের ছবি দেখতে ছুটেছেন দর্শকেরা, অন্যদিকে সেই মোহকে কাজে লাগিয়েই নারীশরীরকে বিক্রি করে প্রচুর লাভ করেছেন ছবির নির্মাতারা। আর দুই লোভের জোরেই এখনও রমরমিয়ে তৈরি হয়ে চলেছে পর্ন ছবি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন