সহবাস ছাড়া নারী কতদিন থাকতে পারে



আপনার শক্ত শরীরটার বদলে যখন ঠান্ডা বালিশটা তার দুই পায়ের ফাঁকে জায়গা করে নেয়, আপনার কি সত্যিই মনে হয় সে শুধু আপনাকেই ভেবে শরীরটাকে শান্ত করে?

আপনি ভাবেন, আপনি বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা পাঠাচ্ছেন আর সে আয়েশ করছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, তার শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই মধ্যরাতে আবার শরীরটা ঘেমে ওঠে? এটা পরিশ্রমের ঘাম নয়, এটা অতৃপ্ত যৌবনের জ্বলে ওঠা আগুনের উত্তাপ। যে আগুন নেভানোর জন্য আপনি পাশে নেই।

একজন পুরুষের দায়িত্বের বোঝা হয়তো তার যৌনতাকে শাসন করতে পারে, কিন্তু একজন নারীর শরীর? তার শরীরের প্রতিটি জীবন্ত কোষ যখন একটা পুরুষালি স্পর্শের জন্য ছটফট করে, তখন আপনার পাঠানো টাকার মেসেজ তার শরীরে কীসের শিহরণ জাগাবে? কামনার, নাকি চরম ঘৃণার?

ভাবুন তো, রাতের অন্ধকারে একা বিছানায় শুয়ে সে যখন নিজের শরীরেই নিজে হাত বোলায়, তখন তার কল্পনায় কার মুখ ভাসে? আপনার, যাকে সে বছরখানেক আগে ছুঁয়েছে? নাকি পাশের বাড়ির সেই ছেলেটা, যে প্রতিদিন তার ভেজা চুলের দিকে ক্ষুধার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে? নাকি ফেসবুকের ইনবক্সে নক করা সেই পুরনো প্রেমিক, যে তার একাকীত্বের সুযোগ নিতে মুখিয়ে আছে?

ভিডিও কলে আপনার মুখটা দেখে তার শরীরের আগুন নেভে না, বরং আরও দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। কারণ স্ক্রিনের আপনি তাকে ছুঁতে পারেন না, তার ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে পারেন না, তার শরীরে আপনার শরীরের ঘামের গন্ধ মিশিয়ে দিতে পারেন না। আপনার ডিজিটাল ভালোবাসা তার শারীরিক খিদের কাছে এক চরম উপহাস মাত্র।

আপনি কি নিশ্চিত, আপনার অনুপস্থিতিতে তার শরীরটা শুধু আপনার জন্যই তোলা আছে? একটা জলন্ত, জীবন্ত শরীর কতদিন অপেক্ষা করতে পারে? কত রাত সে শুধু চোখের জলেই নিজেকে ভেজাবে?
নাকি একদিন ক্লান্ত হয়ে সে এমন কারো জন্য দরজা খুলে দেবে, যে তার শরীরটাকে বুঝবে, তার খিদে মেটাবে?

প্রশ্নটা হলো, আপনি টাকা পাঠিয়ে তার শরীরটা কিনছেন, নাকি তার বিশ্বস্ততাকে প্রতিদিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন?

ভাবুন, প্রবাসী স্বামী। কারণ আপনার সাজানো বিছানা হয়তো অন্য কারো জন্য নিষিদ্ধ খেলার মাঠ হয়ে উঠছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন