কলকাতার নামী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ছোট পর্দা থেকে শুরু করে বড় পর্দায় তার দাপুটে বিচরণ। বলিউডে ‘মিটু’ আন্দোলনের অন্যতম তিনি। একের পর এক অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। তার অভিযোগে তটস্থ হয়ে উঠে বলিউড।
এবার শ্রীলেখা মিত্র নিজেই লিখলেন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায়। যাতে নিজের ক্যারিয়ার ও পথ চলার নানা বিষয়ে বললেন। তিনি লিখেন-
ফুল এসডি ভিডিও দেখতে লেখার উপর ক্লিক করুন
‘প্রথম সন্তান মেয়ে হলে অনেককেই বলতে শুনেছি, ঘরে লক্ষ্মী এল। সেই কারণেই কিনা জানি না, বাড়িতে সবারই আদরে বেড়ে ওঠা আমি বরাবরই গোঁয়ার এবং জেদি। পেট্রিয়ার্কির ফলআউটের শিকার খুব বেশি হতে হয়নি সেকালে। আর তখন
পেট্রিয়ার্কি কী, খায় না মাথায় দেয় সেই বিষয়ে ভাববার মতো বা বোঝার মতো \r\nবোধবুদ্ধিও তৈরি হয়নি। তবে হ্যাঁ, মাকে দেখেছি চিরকাল বাবাকে এবং পরবর্তীতে\r\n আমাদের সবাইকে খানিক সমঝে চলতেন। সরি মা। ভেরি সরি। বাবা আসছে, টিভি বন্ধ \r\nকর। কলেজ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরো। আড্ডা মারতে যেও না। বাবা ফিরে এসে কিন্তু \r\nখুব অশান্তি করবে। বাড়িতে ছেলে বন্ধু আবার কেন? বিশেষ দ্রষ্টব্য, তারা \r\nকিন্তু কেউ বয়ফ্রেন্ড নয়। এরকম টুকটাক চলতেই থাকত। বাবাকে ভয় পেতাম। মাকে \r\nনয় কেন?’
‘টিনএজ \r\nহরমোন যখন ধিতাং ধিতাং বলে শরীরে নাচতে শুরু করল, তখন থেকেই লাগল বিরোধ। সব\r\n কিছুর সঙ্গে জড়িত হল একটি বিশেষ শব্দ। কেন? ভাগ্যিস। ইয়েস আই ডু হ্যাভ আ \r\nমাইন্ড অফ মাই ওন। অ্যান্ড ইটস ইন ওয়ার্কিং কন্ডিশন। ট্রাস্ট মি। এই \r\nঅ্যাটিটিউড আর প্যাশন ফর দ্য আর্ট নিয়ে আমি যুদ্ধে নামলাম অনাত্মীয় এই \r\nইন্ডাস্ট্রিতে। গড ফাদার নয়, শুধু নিজের ফাদারকে সঙ্গে নিয়ে আউটডোর শুটে \r\nগিয়ে অভিনয় যাত্রা শুরু।’
তিমি মাছ, হাঙর গিলতে আসেনি আমায়। শুধু কিছু চারাপোনা একটু আধটু \r\nজ্বালিয়েছিল বইকি। কিন্তু আমি চারাপোনা খাই না বলে, আমায় তারা জ্বালায়নি। \r\nহ্যাঁ, খুব বেশি হলে তাদের ছবিতে আমায় নেয়নি। কিন্তু তাতে আমার আবার \r\nঅনীকদার ভাষায়, কিস্যু যায় আসে না।’
প্রোডিউসার বাবাকে ডেকে এক পার্টিতে বলেছিলেন, মিত্র সাহেব আপনার মেয়েকে \r\nহয়ত বিশেষ কারণে আমার ছবিতে কখনওই নেব না। তবে ওকে আমি খুব রেসপেক্ট করি। উত্তরে বাবা স্মিত হেসে তার হাত ধরে বলেছিলেন, ‘বাবা হয়ে এটা আমার দারুণ \r\nপ্রাপ্তি। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।’ বিশেষ কারণটা সবিস্তারে বলতে হবে? জানি, \r\nআপনারা বুদ্ধিমান।’
‘আমার বরাবরই ছবি কম। প্রচার কম। কাগজে বড় বড় ছবি ছাপা হয় কম। আসলে গোটা বিষয়টা আমার কাছে পাওয়ার ইকুয়েশন। যার যত ক্ষমতা, ক্ষমতা টাকার হোক বা কাজ দেওয়ার হোক, তার তত গর্জন। তোষামোদপ্রিয় মানুষ সর্বক্ষেত্রেই বিরাজমান। সে ইগো বুস্ট করতে কেউ তেল চায়। কেউ সেক্স। কেউ বা দুটোই। যারা দেন, তারা দেন। ভাল করেই দেন। যারা দেন না, তাদের আমার মতো, কিস্যু যায় আসে না।’