পরকীয়ার জেরেই বিচ্ছেদ? যিশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের সম্পর্কে চূড়ান্ত ভাঙন, স্ত্রী-সন্তানকে আনফলো!



গতবছর থেকেই যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য ভাঙার গুঞ্জনে সরগরম টলিপাড়া। ‘আদর্শ দম্পতি’র উদাহরণ তৈরি করেও একছাদের তলায় আর থাকেন না তাঁরা। এমন খবরে মন ভেঙেছিল অনুরাগীদেরও। ডিভোর্সের গুঞ্জনের একমাসের ব্যবধানে বাবা যিশুকে আনফলো করে দিয়েছিলেন সারা সেনগুপ্ত। নীলাঞ্জনাও নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবী মুছে শর্মা হিসেবে ধরা দিয়েছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। সেখান থেকেই বিয়ে ভাঙার জল্পনার সূত্রপাত। এবার জানা গেল, যিশুও নাকি স্ত্রী নীলাঞ্জনা এবং বড়কন্যা সারাকে আনফলো করে দিয়েছেন।


উল্লেখ্য, স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে দূরত্ব, সোশাল মিডিয়ায় ক্রমাগত তাঁর ‘পরকীয়া’ নিয়ে কাটাছেঁড়া, এমনকী ডিভোর্সের জল্পনা নিয়ে হাজারও চর্চা হলেও যিশু সেনগুপ্ত কিন্তু এযাবৎকাল সারাকে অনুসরণ করতেন ইনস্টাগ্রামে। শুধু তাই নয়, মেয়ের বেশ কয়েকটা পোস্টে থাকত বাবার লাইকও। তবে এবার যিশুর ফলোর তালিকাতে সারা সেনগুপ্তকে আর দেখা এল না! অভিনেতা মাত্র ৩৪০ জনকে অনুসরণ করেন। অনেকদিন আগেই নীলাঞ্জনা সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। এবার সারা সেনগুপ্তর ‘অনুপস্থিতি’ খুঁজে বের করল নেটপাড়া। যদিও যিশু বা নীলাঞ্জনা কেউই তাঁদের দাম্পত্য ভাঙার খবর নিয়ে কোনওরকম বিবৃতি দেননি। বরং যে যাঁর মতো করে ব্যক্তিগতজীবনে ব্যস্ত। তবে স্ত্রী এবং বড় মেয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও যিশু এখনও ছোট মেয়ে জারা সেনগুপ্তকে ফলো করেন ইনস্টাগ্রামে। 


যিশু-নীলাঞ্জনার দু’ দশকের দাম্পত্যে চিড়। বিগত এক বছর ধরেই তারকাদম্পতির ডিভোর্সের খবর নিয়ে টলিপড়ার অন্দরে চর্চার অন্ত নেই। চব্বিশের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন মা অঞ্জনা ভৌমিক। তার পর থেকে নীলাঞ্জনার জীবনে বহু ঝড়ঝাপটা বয়ে গিয়েছে। শোনা যায়, পরকীয়ার জেরেই নাকি যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। দুই মেয়ে সারা, জারাকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। এদিকে কলকাতা-মুম্বইয়ে একের পর এক কাজ নিয়ে ব্যস্ত যিশুও। এই কঠিন সময়ে মায়ের হাত আরও শক্ত করে ধরেছেন সারা সেনগুপ্ত। এমন আবহেই খবর, বড় মেয়ে সারা এবং স্ত্রী নীলাঞ্জনাকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি পরকীয়ার জেরেই পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব আরও বেড়েছে যিশু সেনগুপ্তর?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন