গভীর রাতে, গ্রীষ্মের তীব্র গরমে যখন চারপাশ নিস্তব্ধ, গ্রামের যুবতী বিধবা মল্লিকা তার ঘরের জানালা খুলে পাতলা কাপড়ের আবরণে গভীর ঘুমে মগ্ন। গ্রামের কিছু লম্পট যুবক প্রায়ই গভীর রাতে অন্যের ঘরের রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখার চেষ্টা করত।
তাদেরই একজন, কুখ্যাত রতন, সেদিন মল্লিকার ঘরের জানালায় উঁকি দেয়। কুপির মৃদু আলোয় মল্লিকার ফর্সা শরীর দেখে রতন নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, তার মনে কামনার ঝড় ওঠে।
মল্লিকার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তার সাথে সরাসরি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব নয় জেনেও, প্রথম রাতেই রতন দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে তার মনের কামনা পূরণ করে নেয়। এরপর থেকে রতন প্রায়ই মল্লিকার বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করত, শুধু এক পলক দেখার আশায়।
একদিন পুকুরঘাটে মল্লিকাকে ভেজা কাপড়ে বাড়ি ফিরতে দেখে রতন আর নিজেকে সামলাতে পারল না, সে মল্লিকার হাত ধরে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গেই মল্লিকা তার গালে সজোরে চড় মারে। অপমানিত রতন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আশেপাশে কেউ না থাকায় এবং পাশে একটি পরিত্যক্ত জঙ্গলের মতো জায়গায় সুযোগ বুঝে রতন মল্লিকাকে জোর করে সেখানে নিয়ে যায় এবং তার লালসা চরিতার্থ করে।
লজ্জায় মল্লিকা এই ঘটনা কাউকে জানায় না, আর রতন তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে বরং মল্লিকার প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়, তার শরীরের লোভে মত্ত থাকে। এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে। মল্লিকা বুঝতে পারে, এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো তার জীবন বিপন্ন হতে পারে।
একদিন মল্লিকা রতনকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। সেদিন আর সেই জঙ্গলে নয়, মল্লিকার নিজের ঘরে তাদের দেখা হয়। মল্লিকা রতনকে ভালোমন্দ খাওয়ায় এবং এরপর তারা গোপন অভিসারে লিপ্ত হয়। রতন যখন ক্লান্ত শরীরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, সেই সুযোগে মল্লিকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রতনের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।
এই গল্পে লোভী ও কামুক প্রকৃতির মানুষ রতনের পরিণতি দেখানো হয়েছে। তার অবৈধ আকাঙ্ক্ষা এবং নারীর প্রতি অসম্মানজনক আচরণের ফলস্বরূপ সে চরম শাস্তি লাভ করে। গল্পটি এই শিক্ষাই দেয় যে অবৈধ কামনা এবং অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।